এম আবু হেনা,সাগর,ঈদগাঁওঃশীতের শুরুতে কক্সবাজারের ঈদগাঁততে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ততার ধুম পড়ে কারিগরদের প্রাচীনকাল থেকে গ্রামাঞ্চলে মানুষরা রাতে শীত নিবারণে লেপ-তোশক ব্যবহার করে আসছেন।
শীত জেঁকে বসার আগে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোশক বানাতে ক্রেতারা ভিড় করছেন বিভিন্ন লেপ-তোশকের দোকানে।
ঈদগাঁও বাজারে লেপ-তোশকের দোকানে কারি গররা পাড়া মহল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ফেরি করে লেপ-তোশক বিক্রি করে থাকেন।
দেখা যায়, ঈদগাঁও বাজারসহ আশপাশের নানা লেপ-তোশকের কারখানা রয়েছে। এ কারখানায় অর্ডারের লেপ-তোশকের পাশাপাশি তৈরি করে রাখা লেপ-তোশক সারি সারি সাজিয়ে রাখা হয়। আর কারখানায় কারিগরেরা সবাই লেপ-তোশক তৈরিসহ সেলাই কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বর্তমান সময়ে।
তুলা ও আকার ভেদে এ সকল কারখানা গুলোতে বিভিন্ন দামে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কজন ক্রেতার অভিযোগ, অন্যান্য বছর গুলোর মতো এ বছর এখনো শীত জেঁকে বসার আগে দাম কিছুটা বেড়েছে।
সরেজমিনে ঈদগাঁও বাজারে বিভিন্ন পয়েন্টে কারিগররা জানান, বছরের দীর্ঘ একটা সময় তাঁদের অলস কাটাতে হয়। শুধুমাত্র শীতের কয়েক মাস লেপ-তোশক তৈরির কারিগর ও এলাকায় ব্যস্ততা বেড়ে যায়। অনেকে আক্ষেপ করে বলেন, আধুনিক যন্ত্রে উৎপাদিত কম্বল-ম্যাট্রেক্স এখন সহজ লভ্য। তাছাড়া বাহারি রং-বেরঙের ওই কম্বল-ম্যাট্রেক্সের দামও সাধ্যের মধ্যে।
চলতি শীত মৌসুমে লেপ-তোশকের চাহিদা এখনো তুলনামূলক কম থাকায় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কারিগরদেরও উপার্জন কমে গেছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বাড়তে পারে এমনি আশা করেন কারিগরসহ ব্যবসায়ীরা।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply